Skip to main content

Ami Ati Dinamati

·869 words·5 mins
kksongs
Author
kksongs
Un-official KKsongs

Ami Ati Dinamati
#

http://kksongs.org/image_files/image002.jpg

Krsna Kirtana Songs est. 2001                                                                                                                                                 www.kksongs.org

Home Song Lyrics A

Song Name: Ami Ati Dinamati

Official Name: Karpanya Panjika or Vijnapti Nivedana

Author: Bhaktivinoda Thakura

Book Name: Gitamala

Language: Bengali

(১)

আমি অতি দিন-মতি ব্রজ-কুঞ্জে নিবসতি

রাধা-কৃষ্ণ-জুগল-চরণে

কাঁদিয়া কাঁদিয়া অজ ছাড়ি’ সব লোক লজ

নিবেদিব জত আছে মনে

(২)

তুমি কৃষ্ণ নীলমণি নব-মেঘ-প্রভা জিনি’

ব্রজানন্দ কর বিতরণ

তুমি রাধে নব-গৌরী  গোরোচনা-গর্ব হরি’

ব্রজে হর কৃষ্ণচন্দ্র-মন

(৩)

তুমি কৃষ্ণ পীতাম্বরে   পরাজিয়া আর্তশ্বরে

ব্রজ-বনে নিত্য-কেলি-রত

তুমি রাধে নীলাম্বরী   পলাশের গর্ব হরি’

কৃষ্ণ-কেলি-সহায় সতত

(৪)

তুমি কৃষ্ণ হরিন্মণি   জুবা-বৃন্দ-শিরোমণি

রাধিকা তোমার প্রাণেশ্বরী

ব্রজঙ্গণ-সিরঃ-শোভা ধম্মিল-মল্লিকা-প্রভা

তুমি রাধে কৃষ্ণ-প্রিয়াঙ্করী

(৫)

রমা-পতি-শোভা জিনি’ কৃষ্ণ তব রূপ-খানি

জগত মাতায় ব্রজ-বনে

রমা জিনি’ ব্রজাঙ্গনা-  গণ-মধ্য়ে সু-শোভন

তুমি রাধে কৃষ্ণ-চিত্তাঙ্গনে

(৬)

তরঙ্গ-সৌরভ-কণ  বংশী-গীত অনুক্ষণ

ওহে কৃষ্ণ রাধা-মন হরে

রাধে অঙ্গ-গন্ধ তব তোমার সু-বিনা-রব

কৃষ্ণ-চিত্ত উন্মাদিত করে

(৭)

তোমার চপলেক্ষণহরে রাধা-ধৈর্য়-ধন

তুমি কৃষ্ণ চোর-শিরোমণি

বঙ্ক দৃষ্টি-ভঙ্গি তবশ্রী-কৃষ্ণ-হৃদয়াসব

তুমি রাধে কলাবতী ধনী

(৮)

পরিহাসে রাধিকারকথা নাহি সরে যার

তুমি কৃষ্ণ নট-কুল-গুরু

কৃষ্ণ নর্ম-উক্তি শুনি’ রোমঞ্চিত তনু-খনি

তব রাধে রস-কল্প-তরু

(৯)

অপ্রাকৃত-গুণ-মণি-বিনির্মিত-গিরি-শ্রেণি

তুমি কৃষ্ণ সর্ব-গুণ-ময়

উমাদি রমণী-জনবাঞ্ছনীয় গুণ-গণ

রাধে তব স্বভাবিক হয়

(১০)

আমি অতি মন্দ-মতি করি হে কাকুতি নতি

নিখপটে এ প্রার্থন করি

বৃন্দাবন-অধীশ্বর তুমি কৃষ্ণ প্রাণেশ্বর

তুমি রাধে ব্রজ-বনেশ্বরী

(১১)

তোমাদের কৃপা পাইএ-রূপ যোগ্যতা নাই

যদি আমার ব্রজ-বনে

দুঁহে মম কৃপা-ময় জানি’ কৈনু পদাশ্রয়

কৃপা কর এ অধম জনে

(১২)

কেবল অযোগ্য নহিঅপরাধী আমি হৈ

তথাপি করহ কৃপা দান

লোকে কৃপাবিষ্ট জন ক্ষমে অপরাধ-গণ

তুমি দুঁহে মহা-কৃপাবান

(১৩)

কৃপা-হেতু ভক্তি-সার  লেশাভাস নাহি তা’র

কৃপা-অধিকারী নাহি আমি

দুঁহে মহা-লীলেশ্বর    হন সেই লীলাপর

কৃপা কর ব্রজ-জন-স্বামী

(১৪)

সু-দুষ্ট অভক্ত জনে  সিবাদি দেবত-গণে

প্রসন্ন হৈল কৃপা করি’

মহা-লীলা সর্বেশ্বর   দুঁহু মম প্রাণেশ্বর

দয়া কর দোষ পরিহরি’

(১৫)

অধমে উত্তম মণি মূঢ বিজ্ঞ অভিমানী

দুষ্ট হন সিষ্ট-অভিমান

এই দোষে দোষি হন গেল চির-দিন বন

না করিনু ভজন-বিধান

(১৬)

তথাপি এ দীন-জনে যদি নাম-উচ্চরণে

নামাভাসে করিল জীবনে

সর্ব-দোষ-নিবরণ দুঁহু নাম-সঞ্জল্পন

প্রসাদে প্রসীদ দুই জনে

(১৭)

ভক্তি-লব-মাত্রে খোয়সর্ব-অপরাধা হয়

ক্ষম-শীল দুঁহের কৃপায়

এ আশা মনে ধরি’ চরণে প্রার্থন করি’

শোধ দোষ ক্ষমিয়া অমায়

(১৮)

সাধন-সম্পত্তি-হীন  ওহে এ জীব দীন

অতি-কষ্টে ধৃষ্টতর ছার

দুঁহু পদ-নিপতিত প্রার্থন করয়ে হিত

প্রসন্নতা হৌক দোঁহার

(১৯)

দন্তে তৃণ ধরি’ হায় কাঁদিতেছে উভরায়

এ পাপী কম্পিত শরীর

হ নাথ হ নাথ বলি’হ’য়ে অজি কৃতাঞ্জলি

প্রসাদ অর্পিয়া কর স্থির

(২০)

এ দুর্ভগ হ হ স্বরে প্রসাদ প্রার্থনা করে

অনুতাপে গডাগডি যায়

হে রাধে হে কৃষ্ণচন্দ্রশুন মম কাকু-বাদ

তুঁহু কৃপা বিনা প্রাণ যায়

(২১)

ফুত্কার করিয়া কান্দে  আহা আহা কাকু-নাদে

বলে হও প্রসন্ন অমায়

এই তো’ অযোগ্য় জনেকৃপা কর নিজ-গুণে

করুণ-সাগর রাখো পায়

(২২)

মুখেতে অঙ্গুষ্ঠ দিয়া  উচ্চৈঃস্বরে আর্ত হন

কাঁদিতে কাঁদিতে বলে নাথ

করুণ-কণিকা-দানেরাখ কর মোর প্রাণে

কর এই দিনে আত্ম-শাঠ

(২৩)

এ তব মূঢ-জন দীন-বাক্যে সু-ক্রন্দন

প্রার্থনা করয়ে দৃঢ-মনে

হে করুণা-সুনিধান অনুগতি কর দান

করুণর্মি-চ্ছটা ব্রজ-বনে

(২৪)

ভাব চিত্ত-সুখকর  জত আছে সু-মধুর

প্রকটাপ্রকট লীলা-স্থানে

রাধা-কৃষ্ণ-প্রেম-সার সকলের সারাত সার

সেই ভাব যেনি কৃপা-বলে

(২৫)

যদি এ দাসীর প্রতি প্রসন্ন করুণা-মতি

দুঁহু পদ-সেবা কর দান

আর কিছু নাহি চাইজুগল-চরণ পাই

শীতল হৌক মোর প্রাণ

(২৬)

অনাথ-বত্সল তুমি অধম অনাথ আমি

ত্বদীয় সাক্ষাত-দাস্য মাগি

এ প্রসাদ কর দান রাখো অনাথেরপ্রাণ

ছাড়ি’ সব তব দাস্য মাগি

(২৭)

শিরেতে অঞ্জলি ধরি’   ও-পদে বিজপ্তি করি

আমার অভীষ্ট নিবেদন

এক-বার দাস্য দিয়া শীতল কর হে হিয়া

তবে মানি সার্থাক জীবন

(২৮)

কবে দুঁহে এই বনেবিলোকিব সম্মিলনে

অমূল্যাঙ্গ-পরিমল-ঘ্রাণ

আমার নাসিকা-দ্বরেপ্রবেশিয়া চিত্ত-পুরে

অচৈতন্য করিবে বিধান

(২৯)

দুঁহার নূপুর-ধ্বনি  হংস-কণ্ঠ-স্বর জিনি’

মধুর মধুর মম কানে

প্রবেশিয়া কোন ক্ষণে   মম চিত্ত-সুরঞ্জনে

মাতাইবে সেবা-রস-পানে

(৩০)

চক্রাদি সৌভাগ্যাস্পদ বিলখিত দুঁহু পদ

চিহ্ন এই বৃন্দাবন-বনে

দেখিয়া এ দাসী কবে ভাসিবে আনন্দোত্সবে

দুঁহু কৃপা পেয়ে সঙ্গোপনে

(৩১)

সকল-সৌন্দর্জাস্পদ  নীরাজিত দুঁহু পদ

হে রাধে হে নন্দের নন্দন

মমাখি-গোচরে কবে সর্বাদ্ভুত-মহোত্সবে

করিবে আনন্দ-বিতরণ

(৩২)

প্রচীনাশা ফল-পূর্তি  তুঁহু পদাম্ভুজ-স্ফূর্তি

সেই দুঁহু জন-দরশন

এ জন্মে কি হবে মম   এ উত্কণ্ঠা সু-বিষম

বিচলিত করে মম মন

(৩৩)

কবে আমি বৃন্দাবন- কুঞ্জান্তরে দরশন

করিব সুন্দর দুঁহু জনে

সুরত-লীলায় রতআমা হৈতে অদূরত

প্রেমে মগ্ন হ’ব দরশনে

(৩৪)

ঘটনাবশতঃ কবে দুঁহু যোগ অসম্ভবে

পরস্পর সন্দেশ আনিয়া

বাড়াইব দুঁহু সুখ জবে তবে মনো-দুঃখ

বাড়াইব আনন্দে মাতিয়া

(৩৫)

কবে এই বৃন্দাবনে দুঁহু দুঁহ অদর্শনে

ফিরে জ’ব দুঁহে অন্বেষিয়া

সম্মিলন করাইব হর-পদকাদি পা’ব

পরিতুষ্ট দুঁহারে করিয়া 

(৩৬)

দুঁহে হার ধরি’ পণে দ্যূত-ক্রীডা সমাপনে

আমি জয়ী আমি জয়ী বলি’

করিবে কলহ তবেহর-সঙ্গ্রহেতে কবে

আমি তাহা দেখিব সকলি

(৩৭)

আহা কবে দুই জনে কুঞ্জ-মাঝে সু-সয়নে

কুসুম-শয়্যায় বিরামিবে

সে সময়ে দুঁহু পদ   সম্বহন-সুসম্পদ

এ দাসীর সৌভাগ্য মিলিবে

(৩৮)

কন্দর্প-কলহোদ্গারে   ছিণ্ডিবে কণ্ঠের হারে

লতা-গৃহে পড়িবে খাসিয়া

সে হার গান্থিতে কবে  এ দাসী নিজুক্ত হ’বে

দুঁহু কৃপা-আজ্ঞা শিরে পাঞা

(৩৯)

কেলি-কল্লোলের জবে দুঁহু কেস স্রস্ত হবে

দুই-জনর ইঙ্গিত পাইয়া

শিখি-পিঞ্ছ করে ধরি’ কুন্তল-মধিত করি’

আমি রব আনন্দে ডুবিয়া

(৪০)

কন্দর্প-ক্রীডায় জবে  দুঁহু স্রক স্রস্ত হ’বে

তবে আমি দুঁহু আজ্ঞা পাঞা

উভয় ললাট-মাঝে করিব তিলক-সাজে

মত্ত হ’বে সে শোভা দেখিয়া

(৪১)

কৃষ্ণ তব বখে আমি   বন-মল দিয়া স্বামী

রাধে তব নয়নে কজ্জল

কুঞ্জ-মাঝে কোন দিন  পা’ব সুখ সমীচীন

প্রেমে চিত্ত হ’বে টলমল

(৪২)

কবে জাম্বুনদ-বর্ণ   লৈয়া তাম্বূল-পর্ণ

শিরা শূন্য কর্পূরাদি-জুত

বীটিক নির্মাণ করি’   দুঁহু মুখে দিব ধরি’

প্রেমে চিত্ত হ’বে পরিপ্লুত

(৪৩)

কোথা এ দুরাশা মোর কোথা এ দুষ্কর্ম ঘোর

এ প্রার্থনা যদি বল ক্যানো

হে রাধে হে ঘন-শ্যামদুঁহু জন-গুণ-গ্রাম

মাধুরী বলায় মোরে হেন

(৪৪)

দুঁহার জে কৃপা-গুণে   পাইনু ধাম-বৃন্দাবনে

সে কৃপা অভীষ্ট-পূরণ

করুণ আমায় নাথপাঞা তুনু সখী-সাঠ

কুঞ্জ-সেবা পাই অনুক্ষণ

(৪৫)

ওহে রাধে ওহে কৃষ্ণ সেই ব্রজ-রস-তৃষ্ণ

কার্পণ্য-পঞ্জিকা-কথা-ছলে

জল্পন করয়ে সদা তা’র বাঞ্ছা-পূর্তি তদা

করুন দুঁহু কৃপা-বলে

(৪৬)

শ্রী-রূপ-মঞ্জরী-পদ  শিরে ধরি’ সু-সম্পদ

কমল-মঞ্জরী করে আশা

শ্রী-গোদ্রুম-ব্রজ-বনে দুঁহু লীলা-সন্দর্শনে

পূর্ণ হও রসের পিপাসা

UPDATED: July 17, 2016